শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
ভূঁইয়া কামাল, মুলাদী (বরিশাল)।।
প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পর নয়া দিগন্ত পত্রিকার এই প্রথম বিভাগীয় প্রতিনিধি ও উপজেলা সাংবাদিকদেরকে নিয়ে ২৬ এপ্রিল, শুক্রবার ২০২৪ সম্মেলন। এ কথা জানার পর থেকেই মনে কি যে এক আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। সবার সাথে দেখা হবে, কথা হবে, তাই মনে আনন্দ আর আনন্দ।
সকাল ৮টায় বরিশাল প্রেসক্লাবের ৩য় তলায় (এসি রুমে) সম্মেলন কক্ষ। ৮:৩০ মিনিটে রেজিস্ট্রেশন, গেঞ্জি সংগ্রহ ও নাস্তা গ্রহণ। প্রাণঢালা অভিনন্দন ভোলা চরফ্যাশন সংবাদদাতা কামরুজ্জামান ভাইকে যিনি সবাইকে গেঞ্জি দিয়ে ভ্রাতিত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন।
আস্তে আস্তে বিভিন্ন জেলা প্রতিনিধি ও উপজেলার সংবাদদাতারা সম্মেলন কক্ষে আসন গ্রহণ ও সম্মানিত অতিথিদের আসন গ্রহণ। সকাল ৯টায় কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সম্মেলন শুরু।
পারস্পরিক পরিচিতি ও পত্রিকার সার্কুলেশন বাড়ানো ও কি কি সমস্যা তা নিয়ে বক্তব্য।মেহমানদের বক্তব্যের পালা। বেশ চমৎকার বক্তব্য দিলেন মেহমানবৃন্দ। মেহমানবৃন্দ বক্তব্য দেওয়ার শুরুতে প্রতিনিধিদেরকে নয়া দিগন্ত পত্রিকা, নয়া দিগন্ত ক্যালেন্ডার, অন্য দিগন্ত, নয়া দিগন্ত ঈদ ম্যাগাজিন ও নোট বুক দেয়ার ঘোষণা দিয়ে বক্তব্য শোনার মনোযোগী করে তুলেন।
বক্তাদের একটিই বক্তব্য অন্যায়ের সাথে নয়া দিগন্তের সাংবাদিকরা কখনোই আপোষ করেন না।
সম্মেলন কক্ষে ঘুমিয়ে না পড়ে সেজন্য কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ছিল কিছুক্ষণ পরপরই চা আর বিস্কুটের ব্যবস্থা। বাহিরে যখন প্রচন্ড তাপদাহ তখন আমরা ভিতরে ছিলাম শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত রুমে। সে আরামে ঘুমিয়ে না পড়ি সেজন্য মাঝে মাঝে চকলেট বিতরণ করে বক্তাদের কথা শুনার মনোযোগী করেছেন।
দ্বিতীয় অধিবেশনের শুরুতে একটি ব্যাগে করে তাদের দেয়া উপহার গুলো বিতরণ করেন। চার কালারের ক্যালেন্ডারটি ছিল খুবই চমৎকার। ক্যালেন্ডারে সাজনা, নিম, পাথরকুচি, জবা, বাসুক, থানকুনি, শতমূলী, তুলসী, হরীতকী, অর্জুন, দেবদারু ও চিরতা গাছের গুনাগুণ বর্ণনা রয়েছে।
আগত আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ বলেন, নয়া দিগন্তের সাংবাদিকরা সবসময় ব্যতিক্রম, তাদের সততা ও আদর্শের কারণে মানুষ তাদের ভালোবাসেন ও শ্রদ্ধা করেন।
আমাকে ক্রেস্ট দিয়েছিলেন বরিশাল প্রেসক্লাবের সম্মানিত সেক্রেটারি জাকির হোসেন ভাইসহ অতিথিবৃন্দ। ক্রেস্ট দেয়ার সময় তিনি বলেন, আপনি বরিশাল প্রেসক্লাবে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেয়েছিলেন। ধন্যবাদ জাকির ভাইকে আমাকে স্মরণ রাখার জন্য। ছবি তোলা হচ্ছে আনন্দ ধরে রাখা যায় না। আনন্দ আর উল্লাসের মধ্যে দিয়েই বাড়ি ফিরা।
সারাদিনের প্রোগ্রামের ছবিগুলো পাঠানো শুরু করেছেন বিভিন্ন সাংবাদিক বন্ধুগণ। আমাকে দেয়া ক্রেস্ট এর কোন ছবি পাওয়া যাচ্ছে না। আস্তে আস্তে আনন্দ থেকে নিরানন্দের দিকে ধাবিত হচ্ছে আমার মন-প্রাণ।
এরপর নিরানন্দের প্রাণ ভরে উঠলো আনন্দে আর উল্লাসে। ন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ভাই ও বরিশাল ব্যুরো চিফ আযাদ আলাউদ্দিন ভাইয়ের সাথে আমার ক্যামেরায় বন্ধি হওয়ার ছবি পেয়ে। যারা আমার সংবাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে থাকেন। অভিনন্দন তাদেরকে আমার ক্যামেরায় বন্ধি হয়ে থাকার জন্য।
যাবার সময় ক্ষণিকের পরিচয় হয় নয়া দিগন্তের নির্বাহী সম্পাদক মাসুমুর রহমান খলিলী, চিফ রিপোর্টার আবু সালেহ আকন, অনলাইন এডিটর মোহাম্মদ হাসান শরীফ ও ন্যাশনাল ডেস্ক ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ভাইয়ের সাথে। আমার পরিচয় জানার পরে খলিলী ভাই বলেন শহীদ ভাই আপনার কি হয়। আমি তার ছোট ভাই। তিনি বললেন, শহীদ ভাইয়ের সাথে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো ছিল।
অভিনন্দন বরিশাল ব্যুরো চিফ আযাদ আলাউদ্দিন ভাইকে দীর্ঘদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে সম্মেলনকে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সমাপ্তির রেখা টেনেছেন। অভিনন্দন তাদেরকেও যারা আযাদভাইকে বিভিন্ন সময়ে সাহায্য ও পরামর্শ দিয়েছেন।
বহু বছর পরে সাংবাদিকদের প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করে পত্রিকার বিভাগীয় প্রধানদের বক্তব্যে কাজের প্রতি চাঞ্চল্য আর সহকর্মীদের প্রতি ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হয়েছে। অনুভূতি জাগ্রহ হয়েছে “অন্যায়ের সাথে সাংবাদিকতায় কখনোই আপোষ নয়”।